প্রকাশিত: ১৩/০৭/২০২০ ১০:০৮ পিএম

সাগরের জাহাজের বর্জ্যের কারণে বিপর্যয় নেমে এসেছে পরিবেশে। কক্সবাজার সৈকতে এখনো ভেসে আসছে মৃত, আহত ও জীবিত কাছিমসহ নানা প্রাণী। এখনো সরানো হয়নি প্লাস্টিক, কাঁচের বোতল, অ্যালকোহলের বোতলসহ আবর্জনাগুলো।

আজ সোমবারও সৈকত এলাকায় দেখা যায়নি পরিবেশ ও বন বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে। জেলা প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

করোনাভাইরাসের সময় চলা লকডাউনের কারণে এখনও জনসাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। পর্যটকসহ স্থানীয়দের যাতায়াত বন্ধ থাকায় সৈকত ও আশপাশের এলাকায় প্রকৃতি-পরিবেশ ফিরে এসেছিল প্রাণচাঞ্চল্য। কিন্তু গত দুই- তিন দিন থেকে কলাতলী হয়ে হিমছড়ি ইনানী পর্যন্ত সৈকত জুড়ে বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিক সামগ্রী, তেল ও অ্যালকোহল ভর্তি বোতল, ছেঁড়া জাল, কাঠের টুকরোসহ নানা প্রকার আবর্জনা আসতে থাকে। বর্তমানে সৈকতের ৫৫ কিলোমিটার এলাকা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্যা নেচারের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশারফ জানান, আজ দিনের ও রাতের জোয়ারে অনেকগুলো আবর্জনার পাশাপাশি মৃত, জীবিত ও আহত কাছিম ভেসে এসেছে।

হিমছড়ি এলাকা থেকে আজ ছয়টি জীবিত কাছিম সাগরের ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ কর্মী সিরাজুল ইসলাম।

আজ সৈকত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, আবর্জনায় আহত কাছিম পড়ে আছে। সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সৈকত এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা বা বন বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা।

প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন কক্সবাজারের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাসুদ উপর রহমান বলেন, ‘কাঁচি সাপের পাশাপাশি অনেকগুলো প্রাণীও আসছে। সাগরে বড় ধরনের পরিবেশের বিপর্যয় ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে এতগুলো প্রাণী ভেসে আসলেও পরিবেশ ও বন বিভাগের বন্যপ্রাণী বিভাগের উদাসীনতা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।’

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, কী কারণে এসব বর্জ্য এখানে এসেছে, এসব বিষয়ে জানার জন্য, একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগামী তিন দিনের মধ্যে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে আবর্জনাগুলো সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তদন্ত কমিটি থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর করণীয় নির্ধারণ এবং ঘটনায় দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ আকারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি প্রেরণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফসারুল আবসার বলেছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আশা করছি ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে পারব।’ তিনি এ ব্যাপারে পরিবেশ বাদীসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত

অপহরণের পর মুক্তিপণের জন্য বাবাকে শোনানো হচ্ছে নির্যাতনের আর্তনাদ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজার আসার পথে অপহৃত তরুণ রিয়াজুল হাসানকে (১৮) ধারাবাহিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ...

ফেসবুকে শাহজালাল বাবলুর স্ট্যাটাস নিয়ে , ডাঃ রুমির বক্তব্য ও তীব্র প্রতিবাদ

শাহজালাল বাবলুর স্ত্রী শারমিন হিমু কয়েক মাস ধরে স্বনামধন্য গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আরিফা মেহের রুমির ...